বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারকে বাদ দিয়ে নারী দলের নবযাত্রা সুখকর হয়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে দুটি প্রীতি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচেই ৩-১ গোলের হার। তবে দল হারের পর নারী দলের আলোচিত কোচ পিটার বাটলার বলে দিয়েছেন, জিততে হবে জিততে হবেÑ এমন মানসিকতার নন তিনি। প্রথম ম্যাচ হারের পর এই কোচ বলেছিলেন, দল হেরে যাওয়ায় কিছু মানুষ রসিকতা করবে কিংবা হাসবে। তাতে কর্ণপাত করেন না বাটলার। তার কাছে দলের জয়ের চেয়ে উন্নতির বিষয়টিই মুখ্য বিষয়। দলকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে। ফল পেতে হলে তারুণ্যদীপ্ত দলটিকে সময় দিতে হবে। তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী কোচ বাটলার। দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর আমিরাত সফরের অর্জন প্রসঙ্গে বাটলার বলেন, ‘আমি খুবই গর্বিত এই সপ্তাহ নিয়ে। অনেক দিন ধরে আমি ফুটবলের সঙ্গে আছি। জিততে হবে, জিততে হবেÑ আমি এই মানসিকতার নই। আমার মানসিকতা উন্নতির।
আমিরাত সফরে সাবিনা, ঋতুপর্ণাদের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগে ভালো করেনি দল। তবে তরুণদের প্রতিই আস্থা রাখছেন কোচ বাটলার। তার মতে, দল উন্নতি করছে। এই মানসিকতা খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা গেছে। ধৈর্য ধরে এই মানসিকতা নিয়ে এগোতে পারলে দল উন্নতি করবে, ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। সব মিলে বাংলাদেশ নারী ফুটবল এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন এই ইংলিশ কোচ। বাটলার জানান, ‘এই মেয়েদের নিয়ে আমি খুবই ইতিবাচক। খেলায় দারুণ মানসিকতা দেখিয়েছে তারা। এরকম অভিজ্ঞ দলের (আমিরাত) সঙ্গে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারব না। তাদের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে লড়তে পারব না, আমরা তাদের সঙ্গে লড়তে পারি উদ্দীপনা ও সাহস দিয়ে। সেখানে এই মেয়েদের নিয়ে আমি গর্বিত।’বর্তমান বাংলাদেশ নারী দলে মাত্র ১০-১২ জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। বাকিরা সবাই তরুণ ও নতুন। এই দল নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কোচ বাটলার। এদিকে, গতকাল আমিরাত থেকে দেশে ফেরার পর বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছে নারী ফুটবল দল। আজ ছুটিতে যাচ্ছেন আফেঈদারা।